পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের বাটিকাপাড়া মৌজার একটি জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে ভূমিদস্যু লিটন বিশ্বাস সহ তার ভাইদের বিরুদ্ধে ৷ ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে ভুক্তভোগী রঞ্জু আহমেদ বলেন৷
গত ৩০ জুন ২০২২ তারিখে ৩ একর ৬০ শতাংশ জমি ক্রয় করি মৃত তোফিজ উদ্দীনের ওয়ারিসবর্গের কাছে থেকে। জমিটা ক্রয় করি ১ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা দিয়ে৷ কেনার পরে জমিটা পরে ছিলো তারপর আমি জমিটা খাজনা দেই। খাজনা দেওয়া হয় আমার মায়ের ফুফাতো ভাই জানাল প্রামানিক ও তাইজাল প্রামানিকের কাছে৷ তারা সেখানে চাষাবাদ শুরু করে। এক পর্যায়ে সেখানে মুলা আবাদ করছিলো তারা৷ মুলা যখন ওঠার সময় হয়ে গেলো তখন ভূমিদস্যুরা এসে দেশীয় অস্ত্রসহ ভয়ভীতি দেখিয়ে জমিটা দখল করে নেয়৷।
তিনি আরো বলেন যারা জমিটা দখল করেছে তারা অনেক শক্তিশালী ও প্রচুর ক্ষমতাবান৷ এরা হলেন মৃত জুনাব বিশ্বাস এর ছেলে টিপু বিশ্বাস, দীপু বিশ্বাস ও লিটন বিশ্বাস। জমি বিক্রেতা তফিজ উদ্দীনের বড় ছেলে জিন্না প্রামানিক জানায়, এ জমিটা আমার বাবার। বাবার মৃত্যুর পর আমরা ৫ ভাইবোন ও মা জমিটা বিক্রি করে দেই রঞ্জুর কাছে। রঞ্জুকে আমরা দখল বুঝিয়ে দেই। সে জমি খাজনা দেয়৷ চাষাবাদ শুরু করে৷ এক পর্যায়ে শুনি জুনাব বিশ্বাস এর তিন ছেলে জমিটা তাদের কাছে থেকে দখল করে নিয়েছে।
এদিকে জমি লিজ নেওয়া ব্যাক্তি জালাল প্রামানিক ও তাইজাল প্রামানিক জানায়, আমি জমিটি লিজ নিয়ে মুলা চাষ করতে থাকি। আমি লিজ নেই আতিয়ার রহমানের ছেলে রঞ্জু আহমেদের কাছে থেকে। তার থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখেই আমি জমি লিজ নিয়েছি। কিন্ত যখন জমি থেকে মুলা উত্তোলনের সময় চলে আসলো সে সময় একদিন আমি জমি দেখাশোনা করতে মাঠে গিয়েছি৷ এসময় দেশীয় অস্ত্রসহ মৃত জুনাব বিশ্বাস এর তিন ছেলে টিপু বিশ্বাস, দীপু বিশ্বাস, ও লিটন বিশ্বাস আমাদের জমি থেকে চলে যেতে বলে। এক পর্যায়ে আমি বললান আমি জমি খাজনা নিয়েছি আমাকে আমার ফসল তুলে নিয়ে যেতে দেন। এসব কথা না শুনেই তারা আমাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে জমি থেকে তুলে দেয়।
আমরা গ্রামের মাতব্বরদের সাথে আলোচনা করেছি তাতে তাদের কথা ছিলো তারা কোন কাগজের বলে জমি দখল করে আছে সেটা দেখালে আমি নিজেই জমি থেকে চলে যাবো। তারা যদি আসলেই জমি পেয়ে থাকে তাহলে আমি জমি থেকে নেমে যাবো৷ আমরা অনেকবার জমির কাগজপত্র দেখাতে বললেও তারা প্রয়োজনীয় কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পার্শ্ববর্তী জমির মালিক বলেন দীপু, টিপু, লিটন, এরা শক্তিশালী বংশ এদের হাতে অনেক ক্ষমতা আছে। আমরা জানি যে এই জমিটি রঞ্জু কিনেছে তবে সে দখলে গেলে তাকে তুলে দিয়ে দীপু, টিপু,লিটন এরা দখল করে চাষাবাদ করছে৷ স্থানীয় আরো কয়েকজন জানায়, কামালপুরের জুনাব বিশ্বাস এর ছেলেপেলে নেশাগ্রস্ত এটা সকলেই জানে। তারা বিভিন্ন অপকর্ম সন্ত্রাস, জমি দখল সহ নানা অপরাধের সাথে জড়িত।
কোনো কিছু হলেই তারা দলবল হাসুয়া নিয়ে আক্রমন শুরু করে। তাদের কথা হলো, চেয়ারম্যান, মেম্বার, থানা পুলিশ, এসব বিষয় তারা পাত্তা দেয়না। থানা নাকী তাদের পকেটে, পুলিশ প্রশাসন হাতের মধ্যে। এসকল বিষয় জানতে চাইলে অভিযুক্ত দখলকারীর মধ্যে লিটন বিশ্বাস সকল অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে জানায়,আমরা কোনো জমি দখল করে খাইনি। যার নামে জমি তার জমি সেটাই স্বাভাবিক। কাগজ কথা বলবে। জমি যেহেতু আমাদের দখলে আমরা কোর্টে মামলা করেছি। তবে জমির মালিকানা সংক্রান্ত কোনো ধরনের কাগজপত্র দেখাতে পারেনি অভিযুক্তরা।
Leave a Reply